জামালপুরে আ.লীগ নেতার উপস্থিতিতে ধান-চাল সংগ্রহ উদ্বোধন

সারাদেশ

জামালপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সরকারিভাবে বোরো ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করার অভিযোগ উঠেছে। 

রোববার (২৭ এপ্রিল) জামালপুর সিংহজানী খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেন জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইফতেখার ইউনুস। এই ঘটনায় জামালপুরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং  ‘মেহেদী এন্ড তাসলিমা অটোরাইস মিলের’ মালিক সুজায়েত আলী সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, রোববার চলতি মৌসুমে সিংহজানী খাদ্য গুদামে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করা হয়। সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেন, জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইফতেখার ইউনুস। এ সময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান খান, সিংহজানী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসরাত আহম্মেদ পাপেল ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সুজায়েত আলী সুজা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কেন্দুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোজাম্মেল হক ও সুজায়েত আলী সুজার মালিকানাধীন মেহেদী এন্ড তাসলিমা অটোরাইচ মিলের চালও ক্রয় করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধন এবং তারাই মিলের চাল ক্রয় করার ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা যায়, চুক্তিবদ্ধ ২১৪ জন চালকল মালিকের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে চাল এবং কৃষকরা ৩৬ টাকা কেজি মূল্যে ধান সরবরাহ করবেন। একজন কৃষক সর্বোচ্চ তিন টন ধান সরবরাহ করতে পারবে। চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে ৮ হাজার ৯৩১ মেট্রিক টন ধান, ৪১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিংহজানী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশরাত আহাম্মেদ পাপেলকে বার বার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জামালপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান খান বলেন, অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে গুদামের কর্মকর্তারা। সুজায়েত আলী সুজা আওয়ামী লীগের নেতা কিনা জানি না। তবে উনাকে মিল মালিক হিসেবে চিনি। খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশরাত আহাম্মেদ পাপেল অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলেন, তিনিই বলতে পারবেন কাকে কাকে দাওয়াত করেছেন।জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইফতেখার ইউনুসের মন্তব্য জানার জন্য তার মোবাইল ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার মন্তব্য জানা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *